বাবা বাবা আমি সমুদ্র দেখতে চাই। তুমি কি আমাকে সমুদ্র দেখতে নিয়ে যাবে? রাজকন্যা বাবার দিকে যেন অনেক প্রশ্ন নিয়ে অপলক দৃষ্টতে তাকিয়ে আছে।
রাজার কোলে রাজকন্যা।
রাজার হাসতে হাসতে হ্যা সূচক মাথা নাড়ালো। আনন্দে রাজকুমারী বাবাকে জড়িয়ে ধরলো। পাশেই রানী দাঁড়িয়ে। রানী রাজার দিকে তাকালেন আর রাজা রানীর দিকে তাকালেন। রানী রাজাকে নিয়ে খুবই চিন্তিত। কারন যুদ্ধ চলছে।
রাজা অনেক রাতে এসে বলল, রানী তুমি ভেব না তো। আমরাই জিতব, দেখো।
সত্যি সত্যি পরের দিন রাজা যুদ্ধে জয়ী হয়ে বিজয়ের বেশ ফিরলেন। চারদিকে সেকি উৎসব। সাত দিন সাত রাত ধরে রাত উৎসব চলল।
বাবা জাহাজে আমি আমার মিউকে নিতে পারব?
রাজা মাথা বাকিয়ে বললেন, তুমি যা যা নিতে চাও, সব নিতে পারবে। তবে রাজার শর্ত একটাই, সব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে রাখতে হবে, যেটা তোমার কাজ সেটা তোমার দায়িত্বে, ঠিক আছে? রাজকুমারী দৌড়ে ছুটের গেল বাইরের দিকে। যেতে যেতে বলল, ঠিক আছে বাবা, ঠিক আছে।
রানী বলল, সে এই বিষয়ে খুব সাবধানী আর নিজের কাজ নিজেকে করতে পছন্দ করে।
রাজকুমারী মিউ বিড়ালকে নিয়ে ফিরে এলো। মায়ের দিকে তাকিয়ে হেসে বলল, আমি এখন অনেক বড় হয়ে গেছি। আমি একাই মিউকে দেখে রাখব।
রানী বলল, হ্যা মা তুমি তো অনেক বড় হয়ে গেছে। বলে হেসে উঠতেই সবাই এক সাথে হাসলো।
রাজা মিউ সহ রাজকন্যাকে কোলে তুলে নিতে নিতে বললেন, আমি তোমাকে এক অলস রাজার গল্প বলব। যে নিজের তরবারিটাও কখনো পরিস্কার করেনি, আদর করেনি। কিভাবে তরবারি দিয়ে যুদ্ধ করতে হয়, সেটাও সে শিখেনি। সে জানেই না, যত্ন করেল, আদর করলে তার ফল ভালো হয়। যা কিছু নিজের বা নিজেদের তা তা যদি আদর না করো, যত্ন না করো তবে তা তোমার থাকবে না বা নষ্ট হয়ে যাবে দ্রুত। সেই রাজা অন্যের উপর সে ছিল নির্ভরশীল। খাওয়াটা ছাড়া আর কোন কাজ করত না। কিছু দিন পর তার রাজ্যে আরেক রাজা এলো যুদ্ধ করতে। যুদ্ধ শুরু হল। কিন্তু রাজা তো জানে না কিভাবে যুদ্ধ চালাতে হয়। সেনাপতিকে সে কিছুই বলতে পারল না। সেই রাজা যখন তার সব জয় করে তার প্রাসাদে এলো অলস রাজা নিজের তরবারি উচু করে ধরার আগেই পড়ে গেল। কিছুক্ষনের মধ্যে রাজা হেরে গেলো। তাহলে রাজকুমারী আমরা কি শিখলাম, অলসতা করা যাবেই না। আর কোন কাজ ফেলে তাখতে হয় না। না করলে, সেটা যত্ন নেওয়া হয় না।
বাবা তারপর, তারপর কি হলো। রাজকুমারি বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে বাবার দিকে।
রাজা বলল, তারপর আর কি, অলস রাজা যুদ্ধে হেরে গেলে সবাই খুশী হলো। কারন তার অলসতার জন্য প্রজারা অনেক অনেক কষ্ট করেছে। আর নতুন রাজা অনেক বেশি ভালো। প্রজাদের সাথে সব সময় কাজ করে, সব সময় তাদের খবর রাখে। মনে রাখতে হবে নিজেরটা নিজের, নিজেদেরটা নিজেদের। এই যে আমি রাজা। এই রাজ্য আমাদের, নিজেদের। একে মায়া করতে হয় ,আদর করতে হয়, যত্ন নিতে হয়। তাই তো দেখো আমি যুদ্ধে জিতেছি। আমার প্রত্যেক প্রজা যুদ্ধে জিতেছে। প্রজারা সবাই এই রাজ্যকে নিজেদের বলে ভেবেছে। আদর করেছে, যত্ন করেছে, মায়া করেছে।
হ্যা বাবা তুমি গতকালও বলেছিলে, যত্ন না করলে আদরের বাগানও জঙ্গল হয়ে যায়।
রাজা তাকে কোল থেকে নামিয়ে দিতে দিতে বলল, ঠিক আছে, আমার গল্প ফুরিয়ে গেছে। তুমি দেখো তোমার নিজের সব কিছু সব ঠিক মতন নেওয়া হয়েছে কিনা। জাহাজে পৌঁছাতে হবে। সময় একদম নেই।
রাজকুমারী দৌড়ে প্রাসাদের এক কোন থেকে মিউকে নিয়ে ফিরে এলো। কালো আর সাদায় ডুবে আসে মিউ বিড়ালের দেহ। রাজকুমারীর সাথে থাকে সারাদিন।
রাজা বড় জাহাজ থেকে একোটা ছোট নৌকায় করে রাজকুমারি আর রানীকে নিয়ে গেলো। নৌকা পচালানোর জন্য কাউকে সাথে নিল না। নিজের কাজ তিনি নিজেই করেন। নৌকা এগিয়ে গেল আর তখনই নীল তিমির ভেসে উঠল। এই সেই তিমি যে রাজার বাবাকে বাচিয়েছিল। এক ঝড়ে বড় রাজা সমুদ্রের পানিতে পরে গিয়েছিলেন। পানিতে ডুবতে ডুবতে রাজা মনে প্রানে মহান আল্লাহকে ডাকছিলেন। ঠিক তখনই একটা তিমির দেখা মিলল। তিমিটা কোথা থেকে এসে বাচিয়েছিলেন, সে এক বিস্ময়! তিমি মাছের কাছে নৌক নিয়ে গেলো। তিমি মাছ যেন তাকে দেখে ঠিকই চিনেছে। সে অনেক বার বাবার সাথে এখানে এই তিমিকে দেখতে এসেছিল। বহু বছর পর মেয়েকে নিয়ে তিমি মাছটাকে দেখাওতে নিয়ে এসেছে।
রাজা জাহাজে দাঁড়িয়ে ফিস ফিস করে বলল, এই যে তিমি , এটা আমার মেয়ে। দেখ দেখো?
রাজকুমারীর কথায় রাজা ফিরে এলো যেন। বাবা তিমি মাছএর বয়স কি তমার চেয়েও বেশী। রাজা হাসল। রাজকুমারি বলল, তাহলে কি দাদার চেয়েও বেশী? রাজা বলল, একটা একোটা তিমি এত বয়স পরযন্ত বাচে। ওরা কথা বলতে পারলে বয়স্টা জানা যেত।
বাবা অরা কি খেতে পছন্দ করে। আমরা ওদের জন্য মজার খাবার নিয়ে আসলে সে খুশী হত। তাই না বাবা?
রাজা অদের খাবারের গল্প হুনালো।
ত্রপর ফিরে যবার পালা। রাজা সমদ্র নিয়ে গল্প শুরু করলেন। ব্জা বলল, যারা তীরে থাকে তার সমুদ্রকে ডাকে সাগর নামে। আসলে সাগর হলো তীর থেকে বহু দূরপরযন্ত এলাকাকে সাগর ব্লে। আর সমুদ্র পরোটাই হলেও ।স্মুফ্র বলতে গভীর অংশটাকে বলে / এই প্রিথিবিতএ ৭ টা সমুদ্র আছে যার প্র্যেকটা পানির রং আলাদা। সমুদ্র নিয়ে গল্প
র হগল্প দিয়ে প্রথম পর্ব শেষ
চ্যাট জিপিট ঃ রাজা, রানী এবং ছোট রাজকন্যা। তারা সবাই একটি নৌকায় বসে আছে, পেছনে নীল সমুদ্রের ঢেউ দেখা যাচ্ছে। রাজা ও রানীর মাথায় সোনার মুকুট, মুখে উজ্জ্বল হাসি। রাজকন্যা মাঝখানে বসে আছে, তার মুখেও আনন্দের ঝিলিক। দৃশ্যটি উষ্ণ, ভালোবাসায় ভরা এবং পারিবারিক সুখের প্রতীক। মনে হচ্ছে তারা সমুদ্র ভ্রমণে বেরিয়েছে, রাজকন্যার সেই সমুদ্র দেখার ইচ্ছা পূরণ করতে।
Comments
Post a Comment